নজরুল ইসলাম নাহিদ, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে শ্রমিক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা হয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য টাঙ্গাইল পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ধর্ষক মো.ফজলু মিয়া (৩৮) পলাতক রয়েছেন। সে উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের সিএনজি চালক ও দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.ফজলু মিয়া তার চাচাত বোনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে মাদরাসায় নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। মাদরাসায় যাওয়ার পথে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে পালিয়ে যায়। শিশুটি সেখান থেক মাদরাসায় গিয়ে শিক্ষকদের ও উপস্থিত লোকজনকে বিষয়টি জানায়। শিক্ষকরা তাৎক্ষনিক শিশুটির পরিবার ও পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক ফজলুকে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য পদসহ সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো.মতিন মিয়া বলেন, কোন ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল নিতে পারে না, নেবে না। ধর্ষক ফজলুকে শ্রমিক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও মতিন মিয়া নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।