জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার যে বাসায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে তার সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা অবস্থান নেন বংশাল থানার সামনে। জোবায়েদ হত্যায় জড়িতদের বেলা ১২টার মধ্যে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন।শিক্ষার্থীরা বলেন, টিউশনি করাতে গিয়েই হত্যার শিকার হয়েছেন জোবায়েদ।
পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি ভবনের তিনতলায় মেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেনের মরদেহ। কিন্তু ভবনটির নিচতলা থেকে প্রতি তলাতেই দেখা যায় রক্তের দাগ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় দুই যুবককে দৌড়ে পানির পাম্প গলি থেকে বেরিয়ে যেতে। একজনের গায়ে কালো ও অন্যজনের গায়ে গোলাপি রঙের টি-শার্ট।
তবে ভিডিওটিতে আসামিদের চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে নিচতলায় গলায় ছুরিকাঘাত করা হয় এই ছাত্রদল নেতাকে। এরপর প্রাণ বাঁচাতে সিড়ি দিয়ে দৌড়ে উপরের দিকে ছুটে যায় জুবায়েদ।
এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন তার বন্ধু ও সহপাঠীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রদলও এই ঘটনার বিচার দাবি করেছে। হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরাও।
পুলিশ জানায়, জুবায়েদ এই ভবনেই টিউশন পড়াতেন। এই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার ছাত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রাত ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বংশাল থানায় নেয়া হয়।
এর পরপরই বংশাল থানার সামনে অবস্থান নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ দেখান টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে। অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে, থানা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
নিহত জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন জোবায়েদ।