দক্ষিণ গাজায় একটি স্কুল সংলগ্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মঙ্গলবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সরকারি মিডিয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি হামলায় ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামলায় প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ২৫ বলে জানানো হয়েছিল। পরে সেটি বেড়ে ২৯ জনে পৌঁছায়। হামলার পর আবাসন আল-কাবিরা থেকে আহতদের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্র বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছে।
এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘হামাসের সামরিক শাখার সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালিয়েছে।
একটি ভিডিওতে হাসপাতালের মেঝেতে বেশ কয়েকজন শিশুসহ এক ডজনেরও বেশি মৃত ও গুরুতর আহত মানুষ দেখা গেছে।
হামলার ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং নারী ও শিশুদের মৃত্যু ঘটে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং স্কুলের বাইরে তাঁবুতে থাকা অনেক লোকও আহত হয়েছে।
গত চার দিনে বাস্তুচ্যুত হয়ে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের চতুর্থ হামলা এটি।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা প্রথম তিনটি হামলা চালিয়েছে কারণ হামাসের রাজনীতিবিদ, পুলিশ কর্মকর্তা এবং যোদ্ধারা তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল।
গত শনিবার মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ-চালিত একটি স্কুলে হামলায় ১৬ জন নিহত হন। যেখানে প্রায় দুই হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ছিল। পরদিন রোববার গাজা শহরের একটি গির্জাচালিত স্কুলে হামলায় হামাসের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা এবং আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে নুসিরাতের জাতিসংঘ পরিচালিত আরেকটি স্কুলে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ২৪৩ জনে পৌঁছেছে বলে অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৮ হাজার ২৪৩ জন। নিহতের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।
গৃহহীন হয়েছে সাত লাখের বেশি মানুষ।