সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক তিন এমপির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ। এদের ব্যাংক হিসাব থেকে এখন কোনো অর্থ তোলা ও স্থানান্তর করা যাবে না। এসব হিসাবের লেনদেন ও হিসাবে জমা থাকা অর্থের সমুদয় তথ্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে জানাতে হবে বিএফআইইউকে।
বিএফআইইউয়ের চিঠিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক তিন সংসদ সদস্য জামালপুর-৩ (মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ) আসনের মির্জা আজম, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের জান্নাত আরা হেনরী এবং ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে এই চারজন এবং তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নাম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউয়ের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
চিঠিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তার পরিবার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে থাকা হিসাব স্থগিত করতে বলা হয়েছে। আনিসুল হকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক হচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। শুরুতে এ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তার মা। তিনি মৃত্যুবরণ করার পর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন তৌফিকা আফতাব। তারও ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। তিনি আইনমন্ত্রীর সহযোগী হিসাবে পরিচিত।
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
সূত্র জানায়, আনিসুল হক বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েকটি দেশে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনা তদন্ত করে দেখছে বিএফআইইউ।