ভারতে ভ্রমণেচ্ছু মার্কিন নাগরিকদের জন্য নতুন করে লেভেল-২ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। গত সপ্তাহে (১৬ জুন) জারি করা এ সতর্কতায় দেশটিতে ভ্রমণের সময় ‘বাড়তি সতর্কতা’ অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ভারতে অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি রয়েছে। দেশটির কিছু অঞ্চলে এই ঝুঁকি আরও বেশি। বিশেষ করে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধ দ্রুত বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়। পর্যটনকেন্দ্র ও গণপরিবহন এলাকা, বাজার, শপিং মল এবং সরকারি স্থাপনাগুলো সন্ত্রাসীদের হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া কিছু গ্রামীণ অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের সহায়তা দেওয়ার সুযোগ সীমিত বলে জানানো হয়। পূর্ব মহারাষ্ট্র, উত্তর তেলেঙ্গানা থেকে শুরু করে পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাগুলোতে ঝুঁকি বেশি বলেও সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে। এসব এলাকায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তাদের অবশ্যই আগাম অনুমতি নিতে হয়।
সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, ভারতে স্যাটেলাইট ফোন কিংবা জিপিএস ডিভাইস বহন বেআইনি। এসব ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে নারী ভ্রমণকারীদের একা চলাফেরা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা এবং মধ্য ও পূর্ব ভারতের কিছু অংশে ভ্রমণে ‘অতিরিক্ত সতর্কতা’ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। ওই সব অঞ্চলে রাজধানীর বাইরের যেকোনো এলাকায় যেতে চাইলে মার্কিন কর্মীদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।
সতর্কবার্তায় বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় এবং ওড়িশার অধিকাংশ এলাকায় ভ্রমণের আগে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও এসব রাজ্যের রাজধানীতে অনুমতি ছাড়াই যাওয়া যাবে। মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
এছাড়া স্থলপথে ভারত-নেপাল সীমান্ত পারাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এতে অভিবাসন সংক্রান্ত জটিলতা, এমনকি গ্রেফতার কিংবা জরিমানার ঝুঁকি রয়েছে।
হালনাগাদ এই সতর্কবার্তায় মণিপুরসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোকে ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া