হামাস ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বড় শহরগুলোতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছে ওই দুই সশস্ত্র সংগঠনের যোদ্ধারা। এ সময় ইসরায়েলজুড়ে সতর্কসংকেত বাজতে শোনা যায়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
খবর অনুসারে, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজা ও লেবাননে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গতকাল ভোরে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তারা। এরপর বিকেলেও একই শহরে দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি উত্তর ইসরায়েলে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাও চালায় হিজবুল্লাহ।
খবর অনুসারে, তেল আবিবে হামাসের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। যার ফলে অন্তত দুজন আহত হয়। হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডস এই হামলা চালায়। হামাস একটি বিবৃতিতে জানায়, গাজার বেসামরিক মানুষদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে এই আক্রমণ করা হয়েছে। গত আগস্টের পর তেল আবিবে এটি তাদের প্রথম বড় আক্রমণ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় মোট ৪১ হাজার ৯০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন প্রায় ৯৭ হাজারেরও বেশি। হতাহতের এ সংখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য বলেছে জাতিসংঘ।