ঢাকা
৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৬:০১
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫

রাজবাড়ীর গড়াই নদীতে ভেসে উঠছে কুমির, আতঙ্কে এলাকাবাসী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: গত ২দিন থেকে দিনে দুই থেকে তিনবার রাজবাড়ীর গড়াই নদীতে ভেসে উঠছে একাধিক কুমির। প্রায় এক মাসেরও অধিক সময় ধরে এমন ঘটনা ঘটছে। কখনো একটা, কখনো বা এক সাথে দুই-তিনটা কুমির ভেসে উঠছে। নদীতে দেখা যাচ্ছে কুমির এমন সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এ দৃশ্য দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করছে স্কুলের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

প্রতিদিন লোকজনের এমন আগমনে নদী পাড়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন খাবার দোকান সাজিয়ে বসেছে। তবে এসবের বাইরে কুমির আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীর। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে।

উপাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম. আবু দারদা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সরেজমিনে গিয়েছি। কুমির দেখতে পাইনি। তবে কয়েকটি ভিডিও দেখেছি। ভিডিওতে যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটা কুমির কি না বোঝা যাচ্ছে না। কুমির সনাক্ত করা মাত্রই বন বিভাগকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

স্থানীয়রা জানান, নদীতে পানি বাড়ার সময় হয়তো ভেসে এসেছে এই কুমির। এখন নদীর পানি কমে গেছে। এই ঘাটে পানি একটু বেশি। তাই কুমিরগুলো এখানে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার নদীতে কুমির ভাসতে দেখা যায়। আমরা ভয়ে কেউ নদীতে নামতে সাহস পাচ্ছি না।

এ সময় তারা আরও জানায়, প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষ এই নদীতে গোসল, জামা-কাপড় ধোয়াসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতেন। এখন কুমির আতঙ্কে কেউ নদীতে নামতে পারছেন না। বর্তমানে ওই এলাকার মানুষ পানি সঙ্কটে রয়েছেন। তাই নদীর পানি ব্যবহার করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন তারা। দ্রুতই এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তারা।

কুমির ভাসছে নদীতে এমন খবরে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের মোহনের ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুমির দেখতে নদী পাড়ে অপেক্ষা করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা। এ সময় তারা জানান, অনেক দিন ধরে এখানে কুমির ভাসার সংবাদ শুনছেন। তাই তারা কুমির দেখতে এসেছেন।

এ বিষয়ে কমবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে নদীতে কুমির দেখা যায়। আমরা ভেবেছিলাম চলে যাবে, এখন মাঝে মাঝেই দেখা যায়। উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত ভাবে আবেদন করা হবে।

প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram