

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: তিন মাস বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর বাজারে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা দাম কমেছে। তবে, স্থানীয় বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বেচাকেনা হতে দেখা যায়নি।
এদিকে, রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদীপুর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে মোট ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আরও পেঁয়াজবাহী ট্রাক আসতে পারে।
তিনি আরও জানান, রোববার বাংলাদেশ সরকার এই বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার পরই ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো।
সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ সময় সংবাদকে জানান, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ৩০টি আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু হয়েছে ৩০ জন আমদানিকারকের বিপরীতে। রোববার সন্ধ্যায় দুজন আমদানিকারকের ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পৌঁছেছে। এই স্থলবন্দর দিয়ে সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আগের দিন এই ১১০ টাকা দওে বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় পেয়াজ আমদানির পর বাজারে দাম কমায় আমরা খুশি। তবে, বাজার তদারকি বাড়ালে আরো দাম কমে আসবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছে, সিন্ডিকেট ভাঁঙ্গার জন্য সরকার সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিকে সাধুবাদ জানালেও ভবিষ্যতে কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে আইপিও নিয়ন্ত্রণ করার দাবীও জানান।

