রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ইটভাটা শ্রমিক ফরহাদ মন্ডল তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক আলম শেখ (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে ডেকে এনে হাত-পা বেঁধে মাটিতে পুঁতে হত্যাচেষ্টার সময় ৪ জনকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার রাতে বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভীমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের কাছ থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করি। থানায় মামলা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে চিকিৎসার জন্য বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আলম শেখ ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার মাজবাড়ী এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি টঙ্গী চেরাগআলী বড় দেওরা ফকির মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার হরেন রায়ের ছেলে সবুজ রায় (২২), একই জেলার ইয়াকুবপুরের মৃত মাহফুজ আলী শেখের ছেলে হিরা শেখ (২৮), আশরাফুল আলী শেখের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (১৮) ও রাজবাড়ী সদরের ধুনচি এলাকার আনু মন্ডলের ছেলে ফরহাদ মন্ডল (৩৮)। এরা সবাই ইটভাটার শ্রমিক।
হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে ফরহাদ মন্ডল বলেন, ওর বাসার কাছে আমার বাসা ছিল। সে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে এবং তাকে পছন্দ করে। এমনকি বিয়ে করতে চায়। নিষেধ করায় এর আগে পোলাপান নিয়ে মারধর করে টাকা নিয়েছে। অনেকেই বিষয়টি জানেন। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে চাচ্ছিলাম। সেই টাকার অজুহাতে আলম আমার বৌয়ের সাথে দেখা করতে আসে।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, টঙ্গী চেরাগআলীর ব্যবসায়ী আলম শেখ রাজবাড়ী সদরের ইটভাটা শ্রমিক ফরহাদ মন্ডলের কাছে কিছু টাকা পাবে। তা নিতে আসার পর বালিয়াকান্দির জামালপুর থেকে ফরহাদের স্ত্রী তাকে রিসিভ করে ভীমনগর নিয়ে আসে। আর এদিকে ফরহাদসহ ইটের ভাটায় কাজ করা বেশ কয়েকজন ভীমনগরে অবস্থান করছিল। যখন ওই ব্যবসায়ী আসেন, তখন তাকে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় নিয়ে হাত-পা বেঁধে মাটি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ৪ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং ওই ব্যবসায়ীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এসময় আরও কয়েকজন হামলাকারী পালিয়ে যায়।