ঢাকার আদালতপাড়ায় বিচারপ্রার্থীদের ভিড়। এসব মানুষগুলোর চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। নিয়মিত আসছেন ও যাচ্ছেন। তবে, এগুচ্ছে না মামলার কাজ। কিন্তু কেনো?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আত্মগোপনে চলে যান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুললাহ আবু। একইসাথে লাপাত্তা জিপি-সহ রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রসিকিউশন টিম। শুন্যতা দেখা দিলে ঢাকার পিপি হিসেবে নিয়োগে দেয়া হয় সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীকে। কিন্তু দায়িত্ব নেননি তিনি।
প্রায় প্রতিদিন-ই আওয়ামী লীগের হাই-প্রোফাইল নেতা ও সেসময়কার আমলাদের গ্রেফতারের পর তোলা হচ্ছে আদালতে। স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপক্ষে সহায়তাকারী বাদীপক্ষে শুনানি করছেন এক আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে সহায়তাকারী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেছেন, যদি প্রসিকিউশন না থাকে কিংবা জামিনের বিরুদ্ধে বক্তব্য না প্রদান করেন অথবা বিষয়টি তুলে নেয়ার পর-ও জামিন দেয়া না হলে সেই সময়ে একজন বিচারক অসহায় হয়ে পড়েন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া কিংবা আদালতে সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য উপস্থিত না থাকা, তাতে আদালতের কাজের যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। নতুন নিয়োগটা অচিরে দিলেই আদালতের সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য, দেশের মহানগর ও জেলার বিচারিক আদালতে যারা রাষ্ট্রের হয়ে ফৌজদারি মামলা লড়েন, তাদেরকে পাবলিক প্রসিকিউটর বা পিপি বলা হয়। আর দেওয়ানি আদালতে সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনাকারীদের বলা হয়ে থাকে জিপি।