চলমান কোটা আন্দোলন ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটার বিষয়টি আদালতের কাছে চলে গেছে। এখানে আমার দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই। কোটের বিষয়টি কোটেই সমাধান করতে হবে।
রোববার (১৪ জুলাই) চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না আইন মানবে না। সংবিধান কী তা তারা চেনে না। একটা সরকার কীভাবে চলে তা সম্পর্কে আন্দোলনকারীদের কোনো জ্ঞানই নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান কী বলে তা তাদের জানা উচিত। এখন আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক। কিন্তু তারা আদালতে না গিয়ে রাজপথে দাবি আদায় করতে চায়।
তিনি বলেন, সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। আদালতের রায় মানতে হবে। আর যদি না মানে তাহলে কিছু করার নেই। তারা রাজপথে আন্দোলন করতেই থাকবে করুক। তবে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা যদি কাউকে আঘাত করতে চায়। পুলিশের ঘাড়িতে হামলা করতে চায় তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এখানে আমার কিছু করার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রোববার বিকাল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে গত সোমবার সরকারি সফরে বেইজিং যান। তিনি বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বুধবার প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করেছে। এসবের বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সমাপ্তিসহ সাতটি ঘোষণা পত্র সই করেছে।