আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশের পোশাক ও হ্যান্ডকাপসহ দুজনকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে জনতা। উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মারুয়াদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। আটকরা হলেন রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত কনষ্টেবল ইমরান (কনষ্টেবল নং-১১৮৪) এবং মারুয়াদী এলাকার ইমান আলীর ছেলে মাসুম রানা।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় প্রায়ই পুলিশের পোশাক পড়ে এবং হ্যান্ডকাপ নিয়ে একটি চক্র সড়কের গাড়ী এবং মাদক ব্যবসায়িদের বাড়ী তল্লাশির নামে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা নিরীহ লোকজনদেরকেও হয়রানি করে থাকে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সোচ্চার হয়ে চক্রটিকে পাকড়াও করার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার সময় মারুয়াদী এলাকায় মাসুমের দোকানে রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত কনষ্টেবল ইমরান একটি ব্যগসহ এসে বসেন। এ সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তার ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের ভিতরে পুলিশের পোশাক এবং হ্যান্ডকাপ পায়। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় মাসুম এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ফলে এলাকাবাসী দুজনকেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরে জানা যায় যে, আটককৃত পুলিশ সদস্য ইমরান রূপগঞ্জ থানায় কনষ্টেবল পদে কর্মরত। সে প্রায়শই উক্ত এলাকায় এসে মাসুম সহ একটি চক্রকে সঙ্গে নিয়ে এই রূপ অপকর্ম করে থাকে। এলাকাবাসী জানায়, মাসুম একজন ছিনতাইকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী। সে ইমরানের সহযোগিতায় গাড়ী থামিয়ে ছিনতাই করে থাকে। আটক কনষ্টেবল ইমরানকে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। আর মাসুমকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আটক কনষ্টেবলকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর ও মাসুমকে মামলা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (গ অঞ্চল) মেহেদী ইসলাম জানান, কনষ্টেবল ইমরানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।