লেবাননের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি হামলায় অন্তত তিনজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
যে ভবনে তারা ঘুমাচ্ছিলেন সেখানে মারাত্মক হামলায় আরো কয়েকজন সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টােবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল আরাবিয়াহ। তবে নিহত সাংবাদিকদের নাম পরিচয় এবং কর্মস্থল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে লেবানিজ সশস্ত্র বাহিনী (এলএএফ) এর তিনজন সেনা নিহত হয়। আর গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরাইলি ট্যাঙ্কের গুলিতে রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহকে হত্যার পর এই প্রথম সাংবাদিক নিহতের হওয়ার ঘটনা ঘটল।
এদিকে আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হাসবাইয়া এলাকা তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল। এখানে হামলার আগে কোনো সতর্কবার্তাও দেয়নি ইসরাইল।
বুধবার পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে ফোনালাপে লেবানন সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশটিতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কিন্তু এই ফোনালাপের কয়েক ঘন্টা পর, ইসরাইলি হামলায় তিনজন লেবানিজ সেনা নিহত হয়। যখন তারা অন্য হামলার স্থান থেকে আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
ইসরাইলিরা মার্কিন উদ্বেগকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে না বা মার্কিন বার্তা পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলেন, ‘আমি মনে করি তারা অবশ্যই আমাদের উদ্বেগ শুনেছে এবং তারা বুঝতে পেরেছে।
আল আরাবিয়া এক প্রশ্নের জবাবে পেন্টাগন মুখপাত্র আরো বলেন, ‘তারা (ইসরাইল) লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী বা শান্তিরক্ষী বাহিনী সেই এলাকায় কাজ করছে কিনা তা বিবেচনা করে এমন অপারেশন পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা বোঝে।’
‘আমরা এটি পরিষ্কার করতে চাই আপনি জানেন, যখন আমাদের আরও তথ্যের প্রয়োজন হবে তখন বিস্তারিত জানার জন্য চাপ দিতে থাকব’।