স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যে সকল পুলিশ সদস্য এখনো পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদান করেননি, লুকিয়ে রয়েছেন, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আনসার ভিডিপি অ্যাকাডেমিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিগত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের হতে পারেনি বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার সরকার দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যে সকল পুলিশ সদস্য এখনো পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদান করেননি, লুকিয়ে রয়েছেন, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এখনো কাজে যোগ দেয়নি এমন পুলিশের সংখ্যা খুবই নগণ্য বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি অ্যাকাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপ মহাপরিচালক, বাহিনীর পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
আনসার সদস্যদের উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির সময় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে সাহসী ভূমিকা রেখেছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তখন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে এগিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপির থানাগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছয় জন বিসিএস কর্মকর্তা ও ৯০৮ জন রিক্রুট সিপাহী সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের জন্য নির্ধারিত মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করলেন। বিসিএস কর্মকর্তারা দীর্ঘ ১২ মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং একই সঙ্গে মাস্টার্স অব হিউম্যান সিকিউরিটি (এমএইচএস) কোর্স সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে রিক্রুট সিপাহীরা ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।