ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে উপস্থিতি জোরদার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনে আরও অধিক সহিংসতা এড়ানোর জন্য শেখ হাসিনা পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি জনগণকে কারো ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের অপমান করে কোনো বক্তব্য দেননি। মিডিয়া তার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে আন্দোলনে নামে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আওয়ামী লীগ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে তা নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও গোলাটে হয়।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি প্রকাশ করে। তাতেও সরকার কর্ণপাত না করলে শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের এক দফা দাবি কর্মসূচি ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত ছাত্র জনতার বিক্ষোভ গণআন্দোলনে রূপ নিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।