এয়ার কন্ডিশনার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইস। এটি ব্যবহারের ফলে মোটামুটি ভালো বিদ্যুৎ এর খরচ হয়ে থাকে। সকল এসির বিদ্যুতের খরচ একই রকমের হয় না। এসির বিদ্যুৎ বিল অনেক গুলো বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। এই সকল বিষয় ম্যানুয়ালী বের করাটা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ বিষয়। ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করে বিডিস্টল নিয়ে এসেছে এসির বিল ক্যালকুলেটর টুলস। যা ঝামেলা মুক্তভাবে মাত্র কয়েক ক্লিক ই আপনার এসির প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল এর একটি ধারানা দিতে পারে।
এই টুলস ব্যবহার করার জন্য বিডিস্টল ওয়েবসাইট ভিজিট করে ব্যবহার করা যাবে। এই টুলসটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিদ্যুতের হারের উপর ভিত্তি করে একটি আনুমানিক মাসিক এসি বিল হিসাব করা যায়।
যেভাবে ব্যবহার করা যাবে এসি বিল ক্যালকুলেটর?
বিডিস্টলের এসি বিল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা বেশ সহজ। সাধারণত, বিডিস্টল এর ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিম্নলিখিত তথ্য গুলো সিলেক্ট করে আপনি আপনার আনুমানিক বিল সম্পর্কে জানতে পারবেনঃ-
এসির ক্যাপাসিটি: আপনার এসির ক্যাপাসিটি কত টন যেমন: ১টন, ১.৫টন, ২টন সিলেক্ট করুন।
প্রতিদিন ব্যবহারের সময়: আপনি প্রতিদিন কতঘণ্টা এসি ব্যবহার করবেন সেটা সিলেক্ট করুন।
ব্যবহারের স্থান: এয়ারকন্ডিশনার টি কোথায় ব্যবহার করবেন সেটা নির্বাচন করুন। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিলের ধরনের উপরে ভিত্তি করে দুই ধরনের স্থান আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক নির্বাচন করুন।
এই তথ্য গুলো নির্বাচন করার পর ক্যালকুলেট অপশনে ক্লিক করে একটি আনুমানিক মাসিক বিল প্রদর্শন করবে। যেখানে সাধারণ নন-ইনভার্টার এসির বিদ্যুৎ বড় আকারে প্রদর্শিত হলেও একই আকারের ইনভার্টার এসিরও একটি বিল তৈরি করে প্রদর্শিন করে।
শেষকথাঃ
বিডিস্টলের বিল ক্যালকুলেটর টি বাংলাদেশের গড় বিদ্যুতের হারের উপর ভিত্তি করে একটি আনুমানিক বিদ্যুৎ বিল তৈরি করে। এসির প্রকৃত বিল আপনার অবস্থান, ব্যবহারের সময় এবং মোট কিলোওয়াট খরচের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও ইনভার্টার এবং নন-ইনভার্টার এসির বিদ্যুৎ খরচে পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত, ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ এর খরচ কম হয়। বিডিস্টলের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি এই এসি বিল ক্যালকুলেটর টি ব্যবহার করতে পারবেন।