জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মা তার নিজের ৬ দিন বয়সের কন্যা শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ স্থানীয় কাজিরহাট হাইস্কুলের পাশে খালের পানিতে কচুরিপানার ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘাতক মা শারমিন সুলতানা (২৬) কে আটক করেছে। আটক শারমিন সুলতানা কলারেয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী।
থানা পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা সাড়ে তিনটা থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটির পিতা ইব্রাহিম খলিল বাড়িতে এসে বাচ্চাটিকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এসময় শিশুটির মা শারমিন সুলতানা তার সন্তানকে কেউ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটির পিতা ইব্রাহিম খলিল কলারোয়া থানায় আসেন একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঘটনা শুনে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বাচ্চাটির পিতা ইব্রাহিমকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী শারমিন সুলতানা নিজেই তার কন্যা শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন।
পরে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি ও কলারোয়া থানা পুলিশ ঘাতক মা শারমিন সুলতানার দেয়া তথ্য মতে রাত ১১ টার দিকে স্থানীয় কাজিরহাট হাইস্কুলের পিছনে খালের পানিতে কচুরিপানার মধ্যে থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির পিতা ইব্রাহিম খলিলের মা কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সুফিনুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে বৌমা শারমিন সুলতানার নামে রাতে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা শারমিন সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।