ঢাকা
৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৪:৫৬
প্রকাশিত : আগস্ট ১৪, ২০২৫
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২৫
প্রকাশিত : আগস্ট ১৪, ২০২৫

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি ৭ হাজার পরিবার

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা দু’দিন বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে প্লাবিত হয় হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী ও সদরের ২০টি গ্রামের নিচু এলাকা।

এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার পরিবার। বানের জলে তলিয়েছে গ্রামীণ সড়ক, রোপা আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানি ওঠায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেকে গৃহপালিত পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধ ও উঁচু স্থানে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে খুলে রাখা হয়েছে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট।

পাউবো জানিয়েছে, আগামী দুই দিন এই অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যা সতর্কতা কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে, ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া, পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সোলার প্যানেল স্থাপন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি, যা বাঁধ ও বসতভিটার জন্য হুমকি।

দক্ষিণ ভোটমারী এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, সোলার প্যানেলের কারণে পানির চাপ পড়ছে লোকালয়ের রাস্তা ও বাঁধে। এগুলো রক্ষা না করা হলে হাজার হাজার বসতভিটা আর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী দুদিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে। পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

অপরদিকে, জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য ইউএনওদের বলা হয়েছে। তালিকা হয়ে গেলে দ্রুত ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।

সর্বশেষ
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online)
news@bd-sangbad.com, ads@bd-sangbad.com
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।  অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram