ঝিনাইদহের ১২৩ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর এলাকায় উত্তাল ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারটি। শত শত মানুষ ক্ষোভে টাওয়াটি ভাঙচুর করে এবং পরে এতে অগ্নিসংযোগ করে।
জানা যায়, টাওয়ারটি বিশেষ স্থাপত্য ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতীকী ছিল। ছয়তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২০টি ভাস্কর্য ছিল। যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে স্থাপিত ছিল বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ ভাস্কর্য।
স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারবাজার এলাকার শমশের নগরে শুরু হয় ছাত্র জনতার জমায়েত। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। টাওয়ারটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার কণ্ঠে শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগানও বলতে শোনা যায়।
এছাড়া বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে প্রথমে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে স্থাপিত ম্যুরালে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। তারপর মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে আগে থেকেই ভাঙচুর করা ম্যুরালটিতেও আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কালিগঞ্জ বারোবাজার এলাকার শমশের নগরের ১২৩ ফুট উঁচু টাওয়ারটি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে কাদের নেতৃত্ব ভাঙচুর করা হয়েছে এখনো জানতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে এলাকা শান্ত রয়েছে। ওই ঘটনা ছাড়া আর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।’