এস এম আকাশ, ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও এরমধ্যে ৯টা থেকেই বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো.ইসমাইল ভুঁইয়া বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। চট্টগ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ৬ ঘণ্টায় হয়েছে ১০৮ মিলিমিটার। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে,বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকার বিভিন্ন সড়ক কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দৈনন্দিন প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন পড়েছেন মারাত্মক ভোগান্তিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর হালিশহর, ঈদগাহ, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার,মুরাদপুর, শোলকবহর, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে কোমর পরিমাণ পানি দেখা যায়।
পথচারী মো আবদুল করিম বলেন, বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রামের সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। কোনো কোনো সড়কে রিকশা ছাড়া চলাফেরা করা যায় না। এ কারণে রিকশা ভাড়াও বেড়ে যায়। বছরের পর বছর এ ভোগান্তি যেন শেষ হচ্ছে না।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে শুরু হওয়া এসব প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হলে নগরবাসীর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি দূর হয়নি। উল্টো দিন দিন প্রকট হয়েছে।