মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারী স্টাফকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। যুবলীগ নেতা হাসিব আমিন (৩৫) মোংলা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেনের আপন শ্যালক। শ্যালক হাসিব ওই নারী স্টাফকে মারপিটের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কবির হোসেন নিজেও। সরকারি হাসপাতালের স্টাফকে মারপিটের খবরে হাসপাতালে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ছুটে আসে পুলিশও।
সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে এ অভিযোগ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভুক্তভোগী নারী স্টাফ সাবিনা সুলতানা (২৮)।
সাবিনা সুলতানা বলেন, পৌর কাউন্সিলর কবির হোসেন বেশ কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক রোগীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। ওই সময়ে মূলত হাসপাতালে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এ কথা জানাতেই কাউন্সিলর কবির হোসেনের শ্যালক হাসিব আমিনসহ অন্যান্যরা আমার ওপর চড়াও হন। পরবর্তীতে হাসিব আমাকে বেধড়ক মারপিট করেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীনও ছুটে আসেন। আসে পুলিশও। এ ছাড়াও হাসিবের পক্ষ হয়ে আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা আসেন। এনিয়ে পরে হাসপাতালে চরম বাগবিতণ্ডাও হয়। পরে তারা আমাকে সরি বলে চলে যান।
সাবিনা সুলতানা বলেন, আমি এমন ‘সরি’ মানি না। হাসিব আমাকে যাওয়ার সময় পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যান। আমি মামলা করবো, সরির মতো বিচার আমি মানি না।
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘আমি মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।’