বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়নি। সমতলে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট কুড়িগ্রামসহ উত্তরের কয়েক জেলা জলমগ্ন। চরের অসংখ্য ফসলি জমি নিমজ্জিত। বাড়িঘর থেকে পানি না সরায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না। জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের মতো মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলো প্লাবিত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। যমুনা নদীর পানি নামছে ধীরে।
এদিকে, সুনামগঞ্জ আর সিলেটে আবারও বাড়ছে সুরমার জল। সুনামগঞ্জে ১২ উপজেলার নিম্ন ও হাওরাঞ্চলের ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জির অতিবৃষ্টিতে ঢল না নামলে নতুন করে বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিলেটে আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর দিন কাটছে ৯ হাজারের বেশি মানুষের। কুশিয়ারা তীরবর্তী অনেক এলাকা প্রায় দেড় মাস ধরে প্লাবিত। ফলে জীবন যাপনে বিঘ্ন ঘটছে অজস্র মানুষের।