ঢাকা
২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৬:১২
প্রকাশিত : জুন ২৯, ২০২৫
আপডেট: জুন ২৯, ২০২৫
প্রকাশিত : জুন ২৯, ২০২৫

আদানিকে আরও ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলো বাংলাদেশ

ভারতের আদানি পাওয়ারকে জুন মাসেই ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে বিতর্কিত বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির আওতায় আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়ার বড় একটি অংশ পরিশোধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র দ্য হিন্দুকে জানায়, ২৭ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ আদানিকে ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। জুন মাসে মোট ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার কথা ছিল। এই অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আদানির ‘গ্রহণযোগ্য’ পাওনা পূরণ হয়ে যাবে।

সূত্র আরও জানিয়েছে, মাসের বাকি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বাকি অর্থ দিতে পারলে আদানির দাবি করা মোট বকেয়া কমে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে। তবে আদানি গ্রুপের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশের এখনো একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্কের দেনা বাকি থাকবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী নিয়মিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। ফলে ২০২৪ সালের শেষদিকে আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। তবে চলতি বছরের মার্চ থেকে বকেয়া কিছু পরিশোধ শুরু করলে পুনরায় পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

সর্বশেষ পরিশোধসহ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত আদানিকে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। মোট বিল করা হয়েছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। সূত্র অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়মতো অর্থ পরিশোধ অব্যাহত থাকলে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিলম্ব ফি বাবদ ২০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদানি।

তবে এখনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ও কয়লার দামের হিসাব নিয়ে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের মধ্যে মতানৈক্য রয়ে গেছে। এই কারণেই ‘দাবিকৃত’ ও ‘গ্রহণযোগ্য’ পাওনার অঙ্কে পার্থক্য থেকে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র অর্থ পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও পাওনার বিস্তারিত বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, ‘এসব আলোচনা চলমান এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের সময় করা ২০১৭ সালের চুক্তিটি নিয়ে ২০২৪ সালের সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে ড. ইউনূস এ চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনার উদ্যোগ নেন। তাঁর নির্দেশে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি বর্তমানে এ বিষয়ে কাজ করছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি পাওয়ারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশে সরবরাহ করার কথা। বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক স্থগিত হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ থেকে আবার পুরো ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সরবরাহ শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram