ঢাকা
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১১:২১
প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৭, ২০২৫

সবজিতে স্বস্তি, চাল-মাছ-মুরগির বাজারে অস্থিরতা

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তুলনামূলক কম যাচ্ছে সব ধরনের সবজির দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কম দামে অন্তত সবজিটা কিনতে পেরে কিছুটা হলেও খুশি ক্রেতারা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। চালের দামও আগের মতো বেশি রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও তেজগাঁওয়ের কলমীলতা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৫০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০-২৫ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।

দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪০-৫০ টাকা। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির প্রভাবে বাজারে কমেছে শাক-সবজির দাম। যা এখন ভোক্তার নাগালের মধ্যে।

এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দিন দশেক আগে দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখন দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে; বিপরীতে কমেছে বিদেশ থেকে আমদানি। অন্যদিকে সরবরাহ বেশি থাকায় সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম কমে ৪০-৫০ টাকায় নেমেছিল। তবে এতে পেঁয়াজচাষিরা তেমন লাভ পাচ্ছিলেন না। এ কারণে চাষিরা পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন।

এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। বাজারভেদে বর্তমানে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে এ দাম ৩০-৪০ টাকা কম ছিল।

অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারেও। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। দাম বাড়ায় কমেছে চালের বেচাকেনাও। বাড়তি দামের প্রভাবে মানুষ চাল কম কিনছেন।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও অস্থির হয়েছে ইলিশের বাজার। কেজিপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩২০০ টাকা, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

আর বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।

সর্বশেষ
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram