কক্সবাজারের সমালোচিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ‘ইয়াবা ডন’ আবদুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফের একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় তাকে
গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা সাম্রাজ্য দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে আব্দুর রহমান বদি ও তার পরিবারের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় মাদকের সংশ্লিষ্টতায় বদি ও তার ভাইদের নাম ছিল।
বদির স্ত্রী শাহিন আক্তার চৌধুরী সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। আবদুর রহমান বদির ইয়াবা সিন্ডিকেটেরে সদস্যরা হলেন- তার ভাই মো. আবদুল শুক্কুর, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সৎ ভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমান।
২০০২ সালে টেকনাফ পৌরসভা থেকে মেয়র নির্বাচিত হন বদি। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর হয়ে ওঠেন বেপরোয়া।
আর মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হয়ে ওঠে টেকনাফ। অভিযোগ আছে বদির পৃষ্ঠপোষকতায় এসব চলত। এমপি বদির ভাই ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ন্ত্রণ করত ইয়াবা পাচারের কাজ।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধদিপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালকিায় নাম এলেও প্রকাশ্যে ইয়াবার রাজ্যে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বদি ও তার সহযোগীরা।
আব্দুর রহমান বদি আওয়ামী লীগ থেকে ২০০৮ সালে প্রথম এমপি হয়ে যান। তখন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, আইনজীবী ও শিক্ষক পিটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। এরপর দ্বিতীয় বার এমপি হয়ে ইয়াবাকারবারীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিয়োগে ইয়াবা গডফাদার হিসেবে খ্যাতি পান তিনি।
দুর্নীতি ও সম্পদ গোপনসহ নানা অভিযোগে কারাভোগ করেন বদি। অভিযুক্ত হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তার স্ত্রী শাহিন আক্তারকে দিয়ে দলীয় মনোনয়ন
নিয়ে এমপি পদটি নিজের বাগে রাখেন। তখন এমপি হন তার স্ত্রী শাহিন চৌধুরী। সর্বশেষ বদির স্ত্রী শাহিন আক্তার চৌধুরী দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হন।