দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধান ব্যুরো। গত সপ্তাহে সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে তদন্তের আওতায় থাকা ইউনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ব্যুরোর প্রধান কৌঁসুলি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ইউন প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত মঙ্গলবার হঠাৎই দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন ইউন সুক ইওল। তবে সামরিক আইন জারির পরপরই প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। বিক্ষোভকারীরা ইউনের পদত্যাগ ও অভিশংসনের দাবি জানিয়েছেন।
ইউনকে অভিশংসনের চেষ্টায় গত শনিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিও হয়েছে, তবে তা ব্যর্থ হয়। ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) বলেছে, প্রেসিডেন্ট ‘সুশৃঙ্খলভাবে বিদায়’ না নেয়া পর্যন্ত দলটির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করবেন।
রোববার (৮ নভেম্বর) জনসাধারণের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে পিপিপি নেতা হান দং হুন বলেন, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট থাকলেও তিনি দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরের কোনো কাজে যুক্ত হবেন না। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান দুক সো সরকারি কার্যক্রমগুলো সামলাবেন।