মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহ ৫ জনের বিরূদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান,আদাল আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় প্রেরন করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল মৃধা (৪৮),মোঃ মজনু মৃধা (৩৫),মোঃ দুলাল মৃধা (৪৫), আঃ: করিম (৫৭) ও মোঃ মাসুদ (৩০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ইং ০৭ আগস্ট মাদ্রাসায় এসে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ উপজেলার মজিদবাড়িয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রসার সুপার মাওঃ মোঃ হাবিবুর রহমান বাদীর কাছে দুই লাখ চাঁদা দাবি করে। এরপর আসামিরা বাদীকে(সুপার) নানা ভয়তীতি দেখিয়ে তাঁর পদত্যাগ পত্র লেখায় এবং তাঁর স্বাক্ষর নেয়। এখানে চাকরি করতে পারবেনা বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি মাদ্রসার সুপার মাওঃ মোঃ হাবিবুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তাকে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করতে বলেন। ১২ আগস্ট মির্জাগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর ১৮ আগস্ট তিনি মাদ্রাসায় গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সুপার মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমানকে মারধর করে আসামীরা।
তবে আসামী মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল মৃধা চাঁদাবাজির বিষয়টা অস্বীকার করে বলেন,এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। আমি তখন ঢাকায় ছিলাম ছেলের চিকিৎসার জন্য।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সাহাবুদ্দিন নান্নু বলেন,চাঁদাবাজির ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনা রয়েছে যে কেউ চাঁদাবাজি করলে,এর প্রমাণ পেলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। মোঃ মোজাম্মেল মৃধার এ বিষয় আমরা অবগত হয়েছি এবং পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু (কুট্টি) সরকার স্বাক্ষরিত চিঠি মারফত মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে শোকজ করে ৩ দিনের মধ্যে উপযুক্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে মামলা হয়েছে। এখন দলের হাই কমান্ড সিদ্ধান্ত নিবেন।