ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরে শনিবার গভীর রাতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি যুদ্ধবিরতিকে ‘পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন। খবর বিবিসির।
তিনি “যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা” পালনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া সৌদি আরব, চীন, তুরস্ক, কাতার এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশকে ধন্যবাদ জানান।
ওই ভাষণে তিনি চীনকে “অত্যন্ত কাছের, খুব বিশ্বাসযোগ্য” এক বন্ধু দেশ বলে উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে শেহবাজ বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতিতে “সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে”।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা শান্তিকামী রাষ্ট্র। কোটি কোটি মানুষের বাস পাকিস্তানে। প্রত্যেকের জন্যই লাভজনক হবে ভেবেই আমরা যুদ্ধবিরতির এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি দাবি করেছেন যে তার দেশ একটা ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ পেয়েছে। এর জন্য তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর এক এক করে নাম উল্লেখ করে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তার কথায়, দেশের মূলনীতিগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে তারা।
ভাষণের শুরুতেই শরিফ বলেন, কেউ যদি স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করে তাহলে আমাদের প্রতিরোধের জন্য যা করতে হয় করব।
দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন “অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত” দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এটাও বলেছেন, ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানের ওপরে হামলা হয়ছিল, মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে, নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তার ভাষণ শুরুর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে "বারবার যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘনের” যে অভিযাগ তুলেছেন এ ব্যাপারে শরিফ কোনো মন্তব্য করেননি।
বরং, যুদ্ধবিরতির চুক্তি "সকলের কল্যাণের জন্য" করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ভাষণে।
এ ছাড়া পানিবণ্টন ও কাশ্মীরসহ বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলেও আশা প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।