বাংলাদেশের লাখো মানুষের স্বপ্নের গন্তব্য ইউরোপ। যেখানে ভাগ্য বদলের আশায় জীবনের ঝুকি নিয়ে অবৈধ পথে পাড়ি জমান অনেকেই। তবে এবার বাংলাদেশ থেকে ৬ খাতে দক্ষ কর্মী নিচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। প্রাথমিকভাবে আগামী ৩ বছরে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়ায় যাবে তিন হাজার দক্ষ কর্মী। ‘ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ’ কর্মসূচির আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২৭ দেশের জোট– ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঢাকা মিশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানান, বাংলাদেশিদের বৈধপথে যাওয়াকে উৎসাহিত করবে এই কর্মসূচি। আপাতত ইউরোপের চার দেশ হলেও, বাকি রাষ্ট্রগুলোও ভবিষ্যতে যুক্ত হতে পারে এ কর্মসূচিতে।
সাত দেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে ২০২১ সালে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ কর্মসূচি হাতে নেয় ইইউ। সম্প্রতি বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাথে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে চুক্তি করে তারা।
মূলত এর আওতায় আগামী তিন বছরে ৩ হাজার দক্ষ শ্রমিক যাবে ইউরোপে। কারণ, ইউরোপের দেশগুলোতে কর্মক্ষম মানুষের গড় বয়স ৪৪। বাংলাদেশে যা মাত্র ২৭ বছর। আর এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় ইউরোপের দেশগুলো। শুরুতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেবে চারটি দেশ।
এ বিষয়ে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইউরোপে দক্ষ কর্মী খুবই প্রয়োজন। শুরুতে কয়েকটি দেশ শুরু করলেও ধীরে ধীরে ২৭ দেশই সম্পৃক্ত হতে পারে। ঢাকায় ইউরোপের মাত্র ৭টি দেশের মিশন আছে। বাকি দেশগুলোর দিল্লি মিশনের সাথেও কাজ করছি আমরা।
যেহেতু তিন বছরে তিন হাজার দক্ষ কর্মী যাবেন তাই প্রশিক্ষণ নিতে হবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তত্বাবধানে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নিরাপদ অভিবাসনও নিশ্চিত হতে পারে বলে আশাবাদী ইইউ মিশন প্রধান।
তিনি আরও বলেন, এ কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। কবে নাগাদ মানুষ যাবে সেই দিনক্ষণ এখনই বলতে পারছি না। আমরা নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে চাই। এর মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করাও সম্ভব।
উল্লেখ্য, জাহাজ নির্মাণ, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নির্মাণ, পর্যটন ও কৃষি– এই ছয় খাতে শুরুতে কর্মী পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ।