

চোটের সঙ্গে নেইমারের সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের। দুই বছর ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। বর্তমানে শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন এই ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু ফিটনেস দিয়ে সেলেসাওদের কোচ আনচেলত্তিকে কোন ভাবেই সন্তুষ্ট করতে পারছেন না তিনি। যার ফলে জায়গা মিলছেনা ব্রাজিল জাতীয় দলে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গায়ে উঠেনি ব্রাজিলের জার্সি। উরুগুয়ের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে গিয়ে হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়ে ছিটকে যান দল থেকে। এরপরও চোটের সাথে যুদ্ধ করেছেন, ফিরেছেন মাঠে। তবে বিশ্বকাপে তাকে দলে দেখা যাবে কিনা এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। তবে এবার নেইমারকে দলে জায়গা পাওয়ার টোটকা দিলেন আনচেলত্তি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি তার আরও বেশি সেন্ট্রালি খেলা উচিত, উইঙ্গার হিসেবে নয়। কারণ বর্তমান ফুটবলে উইঙ্গাররা এমন খেলোয়াড়, যাদেরকে ডিফেন্সিভ খেলাও খেলতে হয়। যখন আপনি সেন্ট্রালি খেলবেন, তখন সেই কাজটা কমে যাবে। আমিও ভাবি, একজন খুব প্রতিভাবান খেলোয়াড়, যে কি না গোলের কাছে থাকে, সে অনেক বেশি গোলের সুযোগ পায়। ফলস নাইন হতে পারে তার জন্য আদর্শ জায়গা।
এই মাসে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি নেইমারের। চতুর্থবার তাকে ছাড়া দল ঘোষণা করেছেন আনচেলত্তি। সেলেসাওদের প্রাণভোমরা নেইমার কখন দলে ফিরছেন? ব্রাজিল দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে নিয়মিতই এই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে এই ইতালিয়ান মাষ্টার মাইন্ডকে।
আনচেলত্তি বলেন, নেইমারকে নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন শুনেছি। কিন্তু এটা স্বাভাবিক, কারণ সে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের লিজেন্ড। আমি জানি সবাই চায় নেইমার তার সেরা শারীরিক অবস্থায় ফিরুক। সিবিএফ, কোচ, টেকনিক্যাল স্টাফরাও আশা করে নেইমার তার সেরা পর্যায়ে ফিরবে। কিন্তু সত্যিটা হলো আজকাল ফুটবল অনেক কিছু দাবি করে। যেখানে শুধু প্রতিভা নয় আছে শারীরিক অবস্থা ও তীব্রতা।
আনচেলত্তির এই পরামর্শ নেইমার কতটা আমলে নেন এটাই এখন দেখার বিষয়। মার্চে রয়েছে সেলেসাওদের প্রীতি ম্যাচ। দলে ডাক পেতে যত দ্রুত সম্ভব শতভাগ ফিট হতে হবে সান্তোসের রাজপুত্রকে।

