কানাডাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে উরুগুয়ে। শেষ মুহূর্তে সুয়ারেজের গোলে ২-২ সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
রোববার ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে গোলের জন্য ১৪টি শট নেওয়া কানাডা লক্ষ্যে রাখতে পারে ছয়টি। অন্যদিকে ১২টি শট নেয়া উরুগুয়ের পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ম্যাচের ৫২ শতাংশ সময় বলের দখল রাখে কানাডা, ৪৮ শতাংশ সময় উরুগুয়ের কাছে ছিল বল।
প্রথমবার কোপায় খেলতে নেমেই দারুণ চমক দেখিয়েছে কানাডা, সেমিফাইনালে সেই স্বপ্নযাত্রা শেষ হয় আর্জেন্টিনার কাছে হেরে। আজকের ম্যাচেও দুর্দান্ত লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ে শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে আর পেরে উঠেনি কানাডা।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিতে ৮ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল উরুগুয়ে। সেবাস্টিয়ান ক্যাসিরেসের কর্নার থেকে আসা বলে বাঁপায়ের সহজ শটে গোল করেন বেনটেনকার। উরুগুয়ের গোল শোধ করতে খুব বেশি দেরি করেনি কানাডা। ১৪ মিনিটে ইসমায়েল কোনোর গোলে সমতায় ফেরে তারা।
৮০ মিনিট পর্যন্ত খেলা ১-১ সমতায় রাখে দুই দল। কিন্তু এরপরই চমক দেখায় কানাডা। জোনাথন ডেভিডের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে উরুগুয়ে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত দারুণ কিছু সুযোগ পেয়ে কানাডার জাল খুঁজে বের করতে পারেনি তারা।
এরমধ্যে দুইবার গোলের সুযোগ পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু গোল করতে না পারায় হতাশায় তাকে মাঠেই লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। তখন মনে হয়েছিল, ম্যাচ বুঝি হারতেই হবে উরুগুয়েকে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুয়ারেজই উরুগুয়েকে সমতা এনে দিলেন। ৯২ মিনিটে হোস মারিয়া গ্রিমেনেজের ক্রস থেকে বাঁপায়ের শটে গোল করেন উরুগুয়ের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি সুয়ারেজের ৬৯তম গোল। এতে ২-২ গোলে সমতায় ফেরে উরুগুয়ে।
ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম দুই শ্যুটে দুই দলই গোল করে। তৃতীয় শ্যুটে এসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন কানাডার ইসমায়েল কোনো। তবে বরাবরেই মতো সফলতা দেখায় উরুগুয়ে। টানা ৪ শ্যুটের সবগুলোতেই কানাডার জাল কাঁপায় তারা। পঞ্চম শ্যুটে কানাডা ব্যর্থ হওয়ায় জয় নিশ্চিত হয় উরুগুয়ের।
শেষ ম্যাচে অভিজ্ঞ সুয়ারেজই হলেন ম্যাচসেরা।