রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়া শাহেদ ড্রোনের নতুন ভার্সন আনলো ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার মধ্যে শনিবার, এক সামরিক কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো উন্মোচন করা হয় ড্রোনটি। ইরান-ইরাক যুদ্ধ স্মরণে আয়োজিত বিশেষ প্রতিরক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী দিনে প্রথমবার জনসম্মুখে আনা হয় নতুন ব্যালেস্টিক মিসাইল ‘জিহাদ’। ইরানের দাবি, দুটি সমরাস্ত্রই আরও কার্যকর ও নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম।
ইরাক-ইরান যুদ্ধের স্মরণে ইরানে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রতিরক্ষা সপ্তাহ। শনিবার আয়োজনের উদ্বোধনী দিনে সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী- আইআরজিসির সদস্যরা।
বিশেষ প্রতিরক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী আয়োজনে ছিলেন দেশটি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তার দাবি, ইরান এখন শত্রুদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার পাশাপাশি, প্রতিবেশীদের সহায়তা করতেও সক্ষম। এসময় ইসরায়েলকেও কঠোর বার্তা দেন মধ্যমপন্থী এই সরকারপ্রধান।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা আজ বিশ্ব দরবারে এটি বলতে পারি যে, আমরা আমাদের নিজেদের দেশকে রক্ষা করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যদেশগুল সাথে সংহতির মাধ্যমে তাদের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও সক্ষম। প্রতিবেশী দেশগুলোকে একত্রিত করে গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলি শাসককে বাধ্য করতে হবে। নারী, শিশু ও বয়স্কদের ওপর যে জঘন্য বর্বরতা চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে।
ইউক্রেনকে কাঁপিয়ে দিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল রুশ সেনাদের ব্যবহৃত ইরানের শাহেদ ড্রোন। এবার এই ড্রোনের নতুন সংস্করণ এনেছে তেহরান। টার্বোজেট ইঞ্জিন চালিত শাহেদ-১৩৬বি নামের ড্রোনটি আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতেও সক্ষম।
এদিন, উন্মোচন করা হয়েছে জিহাদ নামের নতুন আরেকটি ব্যালেস্টিক মিসাইলও। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সলিড ফুয়েল চালিত ব্যালেস্টিক মিসাইলটি হামলা চালাতে পারে ১ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে। দু’টি সমরাস্ত্রই তৈরি করেছে আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স।