ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন। দেশটির উত্তর প্রদেশের লখনৌ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ডাবল-ডেকার বাসের সঙ্গে দুধের ট্যাংকারের সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে দুধবহনকারী ট্যাংকারের সাথে ডাবল-ডেকার বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিন নারী ও এক শিশু রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ডাবল-ডেকার বাসটি বিহার রাজ্যের সীতামারহি থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাসটি বুধবার ভোরে লখনৌ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে পেছন থেকে দুধের একটি ট্যাংকারকে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার অফিস জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার ভোর ৫টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দূরপাল্লার বাসটি মঙ্গলবার রাতে বিহার থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। ভোরবেলা লখনৌ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ই বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বেহতা মুজাওয়ার এলাকায় এসে একটি দুধের ট্যাংকারে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে ট্যাংকার এবং বাস, দুটিই উল্টে যায় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নজরে আসতেই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারাই প্রথম উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বাসের মধ্যে থেকে যাত্রীদের বের করে আনার চেষ্টা করেন। একই সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বাঙ্গারমাউ এবং বেহতা মুজাওয়ার থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন এসডিএম নম্রতা সিংও।
উদ্ধারকারী দল বাসের জানলা ভেঙে যাত্রীদের কয়েকজনকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। নম্রতা সিং জানান, কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। যাত্রীদের উদ্ধার করাই এখন প্রাথমিক কাজ।
তিনি বলেন, ‘বিহার থেকে দিল্লি যাচ্ছিল বাসটি। বাসে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, বাস চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত এবং আহতদের পরিচয় জানার চেষ্টাও চলছে।’