গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেয়ায় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক (মামলা নং-৮, তাং-২.০৩.২০২৫)। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-প্রফেসর ড. মোশার্রফ আলী, প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মান্নান এবং সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী।
দুদুকের মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২০.০৯.২০২৮ তারিখের স্মারক নং-৭৬৩-তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসারের ১৬টি পদসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের বিপরীতে শারমিন চৌধুরীসহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
উক্ত পদে ৮৭০ জন আবেদকারীর ডাটা শীটে তৎকালীন ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে। উক্ত তালিকায় আসামি শারমিন চৌধুরী’র নাম নাই। তাছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে ৮৭৩ নম্বর ক্রমিক ডাটা শীটে নাই।
অর্থাৎ আবেদন তালিকায় না থাকার পরও জাল-জালিয়াতি করে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত ছিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আসামি শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের বেশি ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আসামি শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের স্থলে ৩৩ বছর ৩ মাস থাকার পরও বে-আইনিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ ও ডাটা শীটে নাম না থাকার পরও নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।