মাশরেকুল আলম, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ১৩ বছর আগে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসমত আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ১৩ জুন ওসি হিসেবে ক্ষেতলাল থানায় যোগদান করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ২০১২ সালের ৫ অক্টোবর জয়পুরহাট সদরে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মিছিলে পুলিশের হামলার একটি ভিডিও গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, জামায়াতের মিছিলে নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ লাঠি চার্জ করছে। সেসব পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্ষেতলাল থানার নবাগত ওসি হাশমত আলীকেও লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়। তিনি তৎকালীন জয়পুরহাট সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার (২৫ জুন) ওসি হাশমত আলী ক্ষেতলাল থানা ছেড়ে চলে যান।
পরে ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, ওসি হাসমতকে অফিসিয়ালি প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শামীম হোসেন মন্ডল বলেন, ওই ওসি আমাদের জয়পুরহাটের তৎকালীন জামাতের সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ আরও অনেককে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করেছে। ওই একই মিছিলে আমাদের জয়পুরহাটের প্রথম শিবিরের শহীদ/বদিউজ্জামানকে উনিই গুলি করেছেন, উনার গুলিতেই আহত হয়ে আমাদের ভাই কয়েকদিন পরেই শাহাদাত বরণ করেছিল।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ক্ষেতলাল থানার ওসিকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।