মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে কুমিল্লায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার সদর দক্ষিণ, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। যাদের একজন নারী, একজন ইন্সুইরেন্স কর্মী ও আরেকজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
সদর দক্ষিণ থানা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খালে এক পুরুষের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানা বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, লাশটির শরীর একটি জ্যাকেট ছিল। আমরা যখন উদ্ধার করি লাশের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন কিংবা রক্ত দেখতে পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তদন্ত ছাড়া আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে লাকসাম উপজেলার হোটেল ড্রিমল্যান্ড থেকে আলতাফ হোসেন নামের এক ৩৭ বছর বয়সী পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি প্রগতি ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের পর আমরা তার পরিবারকে জানিয়েছি। তার পরিবার আসছেন। আমরা এখনও জানিনা তিনি এখানে কিভাবে আসলেন এবং কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে বিষয়টির তদন্ত চলমান আছে। বিস্তারিত জেনে জানাতে পারব। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের সড়কের পাশে স্থানীয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার বান্দুয়াইন গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর স্ত্রী। রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বান্দুইয়ান গ্রামের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনোহরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইমন হোসেন।
তিনি বলেন, ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। স্থানীয়রা তার লাশ পেয়ে পুলিশের খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে। কিন্তু কিভাবে তার মৃত্যু হল এবং এতো রাতে তিনি কেন এখানে আসলেন তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।