সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু'পক্ষের হামলা সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ভোর বাজার ও নবাবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ফরহাদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মোহন মিয়াজি, শুভ, সুমন, সুজন, ইব্রাহীম মুক্তি, আশরাফুল আলম খান, সাঈদুর রহমান সাহেদ, ওসমান গণি ও ইরফানুল ইসলাম আপন। আহতরা সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর তাহেরা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তানজিরুল আজিম চৌধুরীর ছবি দিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেন "মিশা সওদাগর গংদের কি অবস্থা? আগে তো তার বাড়ি দেখতে গেছো। এবার তার ঢাকার বাসায় গিয়ে দেখে আসো। এই গংরা আওয়ামী লীগের দালাল আবার প্রমাণিত হলো। ওই স্ট্যাটাসে সাইদুর রহমান শাহেদ নামে যুবদল নেতা মন্তব্য করেন, তোমরা হামলা করতে পারলে তাতে সমস্যা নাই। তারা দেখে আসলে সমস্যা শুধু তাই না। আওয়ামী লীগের দালাল কারা মানুষ ভালো করে জানে। সুতরাং ছাত্রদলের সভাপতি মানে হল সম্মানের জায়গা। অসামাজিক কথা বলে নিজেকে হেয় প্রতিপন্ন করো না বন্ধু!
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোর বাজারে ছাত্রদল নেতা ফরহাদকে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দু'পক্ষ নবাবপুর বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু'পক্ষের উল্লেখিত ১১জন নেতাকর্মী আহত হন। সোনাগাজী মডেল থানায় বিবদমান দুটি পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তেজনা চলছে। গত ১৪ জানুয়ারি তাহেরা বেগম উচ্চবিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির বিতর্কিত সভপতি ঘোষণা নিয়ে দুটি পক্ষের মাঝে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। অবশ্য ২২ জানুয়ারি তিনি পদত্যাগ করেছেন মর্মে কুমিল্লা বোর্ডের পরিদর্শক স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং লিখিত অভিযোগগুলোর তদন্ত চলছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।