যশোর প্রতিনিধি: যশোরে বিদেশে পাঠানোর নামে বহু মানুষের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন রঞ্জু নামে এক ব্যক্তি। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা সেই টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছেন রঞ্জুর স্ত্রীর ওপরে। যেকারণে স্ত্রী শ্যামলী মঙ্গলবার বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বামী রঞ্জুর বিরুদ্ধে। এ সময় তিনি স্বামী রঞ্জুর চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এই প্রতারক আপন চাচাকে খুন করে তার স্ত্রী রিনা বেগমকে নিয়ে বর্তমানে সংসার করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্ত্রী শ্যামলী।
অভিযোগে তিনি বলেন, যশোরের শংকরপুরের রঞ্জুর নামে এক ব্যক্তি বিদেশ পাঠানোর নামে বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে শুভ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৯ লাখ, সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ৪০ লাখ, সাহেব আলীর কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ও রুবেল নামে আরও এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রঞ্জুর। এসব টাকার জন্য এখন স্ত্রী শ্যামলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন প্রতারিতরা।
শ্যামলী অভিযোগ করেন, একজন গৃহিনী স্ত্রীর পক্ষে এত টাকা পরিশোধের সামর্থ্য নেই তার। এসব নিয়ে কথা বললে রঞ্জু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
তিনি বলেন, রঞ্জু বিশাল একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার রাজু, সিদ্দিক, আলম ও নুর ইসলাম, আলমডাঙার শিপন মেম্বার ও ঢাকা মতিঝিলের আনোয়ার। চক্রটি সংঘবদ্ধ। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে।
রঞ্জু আপন চাচা সালামকে খুন করে তার স্ত্রী রিনা বেগমকে বিয়ে করেছেন বলেও অভিযোগ করেন স্ত্রী শ্যামলী।
বর্তমানে প্রতারিতরা শ্যামলীকে পাওনা টাকা পরিশোদের জন্য চাপ দিচ্ছে কিন্তু রঞ্জু দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি গেড়ে চাচী রিনা বেগমকে নিয়ে মানবপাচার সিণ্ডিকেট পরিচালনা করছেন।
এ অবস্থায় চিহিৃত এই প্রতারক ও মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান শ্যামলী। তিনি বলেন, এমনিতে আমার সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। তারপর পাওনাদারদের চাপ নিতে পারছেন না শ্যামলী। তিনি সমাজের বিজ্ঞশালীদের আসু দৃষ্টি কামনা করেছেন।