যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে শাওন ঘোষ নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র এক সদস্যকে ধরে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় জনতা।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে তাকে ধরা হয়।
জানা গেছে, বিজিবি ব্যাটালিয়ন থেকে ছুটি না নিয়ে সে গোপনে ভারতে যাচ্ছিল।
আটক বিজিবি সদস্য ঝিনাইদহ জেলার কালিগজ্ঞ উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামরে বিধান ঘোষের ছেলে। সে ২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির সদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী জুয়েল জানান, তারা চেকপোস্টে অবস্থান করছিল। ইমিগ্রেশন পুলিশ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশে বাঁধা দিয়ে তাকে ফেরত দেয়। এসময় প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে সন্দেহভাজন চলাফেরা দেখে স্থানীয় জনতা জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার মোবাইল চেক করেন। প্রথমে সে কৃষক ও পরে ছাত্রদলের কর্মী পরিচয় দেয়।
এসময় ফেসবুক ঘেটে দেখা যায় চলমান পেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে বিভিন্ন স্টাটার্স ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে তার ছবি তোলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সে এসব ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে গাঁঢাকা দিতে ভারতে যাচ্ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় বিজিবির ওই সদস্য জানায়, সে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছিল। পুলিশ ও জনতার কাছে সে আতঙ্কিত হয়ে ভুলভাল বলেছেন। তবে ছুটি না নিয়ে কেন যাচ্ছেন বা মোবাইলে বিতর্কিত এসব ছবি পোস্ট করা নিয়ে কোন সদত্তোর দিতে পারেনি এ বিজিবি সদস্য।
বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান, জনতা তাকে ধরে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে। তবে তার সাথে কেউ খারাপ আচরণ করেননি। সে অনিয়ম করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাকে বিজিবি ব্যাটালিয়নে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ফারুক জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেডিকেল ভিসায় যাতায়াত স্বাভাবিক আছে। ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা যাচাই বাচাই করে খুব জরুরি হলে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার সাথে জড়িত অনেকে সীমান্ত ও ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে আশ্রয়ের জন্য পাল্লাচ্ছে। তবে যাতে কেউ পালাতে না পারে এজন্য ইমিগ্রেশনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সরকারের বিভিন্ন গোয়ন্দা সংস্থা সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে।
দুদিন আগে ভারতে পালানোর সময় ছাত্রলীগের সজিব হালদার নামে ঢাকা দোহারের এক ছাত্রলীগ নেতা আটক হয় বিজিবির হাতে।