

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলে উড্ডয়নের পরপরই ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিসের (ইউপিএস) একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত ও আরও ১১ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধারকর্মীরা এখনো বিমানবন্দরের কাছে জ্বলতে থাকা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউপিএসের তথ্য অনুযায়ী, তিন ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমানটি প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার ফ্লাইটে হাওয়াইয়ের হনোলুলুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বিমানে তিনজন ক্রু ছিলেন এবং তারা সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ডব্লিউএলকেওয়াই-এর সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি উড্ডয়নের সময় একটি পাখায় আগুন ধরে যায় এবং মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভয়াবহ অগ্নিগোলকে পরিণত হয়। এছাড়া বিমানটি আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ের বাইরে শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি ভবনেও আগুন ধরে যায়। এসময় আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এক বিবৃতিতে জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ বিধ্বস্ত হয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানের কোনো ইঞ্জিন দুর্ঘটনার আগে আলাদা হয়ে পড়েছিল কিনা তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখছেন, কারণ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে থাকা ধাতব টুকরোর ভিডিও প্রমাণ হাতে এসেছে।
লুইসভিলের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের আশপাশে এখনো আগুন জ্বলছে। দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থেকে পাঁচ মাইল এলাকার মধ্যে সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে নির্দেশ জারি করেছে।
ইউপিএস জানিয়েছে, এখনো তারা আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর লুইসভিল বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

