চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: জামায়াতের পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন ও এনসিপির প্রতীক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নির্বাচন আয়োজনে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু হল মিলনায়তনে একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান আইনের আওয়াতায় নির্বাচন কমিশন সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে। আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোন কাজ করতে পারে না, করবে না। আইন যেভাবে আছে সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি।
বিগত নির্বাচনে ভোট কারচুপি’র সাথে জড়িতদের বিষয়ে বলেন, যারা অতীতে নির্বাচনে অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে রাখব, তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে দিব না।
অনেক পরাজিত দল নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন অথবা ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন সেক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কি প্রস্তুতি রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি কোন কোন দল বলতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত এই ধরণের সিচুয়েশেন নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে আসেনি, অবস্থার প্রেক্ষিতে নির্বাচক কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা ও ভোট কারচুপি রোধে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর মোবাইল টিম, মোবাইল কোর্ট, ইলেকট্ররাল ইনকোয়ারী ও পর্যবেক্ষক টীমসহ মোবইল এ্যাপস’র মাধ্যমে মনিটর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান ইসি।
‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশলায়’ প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালায়রে অতিরিক্ত সচিব একেএম নেওয়াজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, সিবিটিইপি প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান। মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত ৭০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।