ঢাকা
২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১০:৩৬
প্রকাশিত : জুন ১৮, ২০২৫
আপডেট: জুন ১৮, ২০২৫
প্রকাশিত : জুন ১৮, ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে ঐক্য ও চ্যালেঞ্জ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আপাতত ঐক্য হয়েছে। কিন্তু, সংকট কী কেটে গেছে? রাজনৈতিক বিশ্লেকরা বলছেন, সামনে জুলাই সনদ, তারেক রহমানের ফেরা, ইসির তফসিল ও ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। তারা বলছেন, কিছু শক্তি নির্বাচন চায় না, আবার আওয়ামী লীগও সক্রিয় হতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না।

এদিকে, নির্বাচন নিয়ে অন্তবর্তী সরকার-বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থানে ঐক্য হয়েছে তারেক-ইউনূসের লন্ডন বৈঠকে। যদিও ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছিলো বিচার ও সংস্কারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি’র শর্ত। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঘোষিত টাইমলাইন অনুযায়ী নির্বাচনের বিকল্প আর নেই সরকারের কাছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ঘোষিত সময়ের পর নির্বাচন করার আর সময়ও নেই। নির্বাচনকে উপেক্ষা করা কিংবা নির্বাচন না করে পার হয়ে যাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।

দৈনিক মানবজমিন সম্পাদকের মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এখন যেভাবে রাজনীতির চলমান প্রক্রিয়া চলছে, তাতে একটা পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন ধরে রাখতে হলে কিংবা রাখা সম্ভব হলে নির্বাচন হয়তো হয়ে যাবে। তবে, নির্বাচন বিরোধী শক্তিও রয়েছে।

মূলত, নির্বাচনের সময়সূচী নিয়ে আপাতত ঐক্য হলেও সামনে নানা চ্যালেঞ্জ দেখছেন তারা।

দৈনিক মানবজমিন সম্পাদকের মতিউর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি শান্ত হলেও, সামনের দিনগুলোতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষকরে, জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে মোড় ঘুরতে পারে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারিতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন কখন রোডম্যাপ ঘোষণা করবে, অর্থাৎ তফসিল ঘোষণার যে সময়টা, সেই বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও তারেক রহমানের দেশে ফেরার একটি বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ যে বসে থাকবে, সেটি ভাবারও কোন কারণ নেই।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন শক্তির স্বার্থের সংঘাত এবং বিভিন্ন শক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যে চিন্তা, সেটি নিয়েও সংঘাত— এ সমস্ত সংঘাতের মধ্য দিয়ে মাঝেমধ্যে ঐক্য হবে, মাঝেমধ্যে দ্বন্দ্ব হবে, এগুলোর মধ্যে দিয়ে সামনের সময়গুলো যাবে বলে ধারণা করছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াত-এনসিপি ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ। তরুণ ভোটার আরো বাড়াতে চায় তারা। তবে এতে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, কোন দল যদি মনে করে, তরুণরা ভোটার হলে তাদের দলকে ভোট দেবে—এমন আশা করার কোন কারণ নেই। তরুণরা কে কোথায় ভোট দেবে, সেটির কোন নির্দিষ্ট উত্তর নেই।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আছে। তবে তফসিল ঘোষণার পর সবাই নির্বাচন মুখী হলে এক্ষেত্রে সংকট অনেকটা কেটে যাবে।

সর্বশেষ
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram