রাজধানীর রাস্তায় দিনের বেলায়ও চলছে দূরপাল্লার বাস, রাস্তায় দেদারছে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। তার ওপর সড়কের খানাখন্দেও তৈরি হচ্ছে যানজট। ট্রাফিক পুলিশ থেকেও নেই। কেউ অবশ্য আগের মতো মানছেও না পুলিশের নির্দেশ।
অফিস ছুটি হয় বিকেলে; সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হতে চললেও মোড়ে মোড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে যানবাহন। রাত পেরিয়ে সকাল। পরদিন আবারও কাজে বেরিয়ে আবারও সেই যানজট। মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়ে বারিধারার দিকে যাচ্ছিলেন এক বেসরকারি চাকরিজীবী। বিজয়স্মরণি আসতেই চলে গেছে তার দেড় ঘণ্টা।
এমন অনেকেই আছেন হুট করে যানজট বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
এতো যানজটের কী কারণ? সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পুরো রাস্তাজুড়ে দিনের বেলাতেও চলছে দূরপাল্লার বাস। মূল রাস্তায় দেদারছে উঠে পড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। প্রতি মোড়ে মোড়ে সংযোগ সড়কের মুখগুলো আটকে পড়ছে এ রিকশার কারণে। রাস্তার মাঝেও যেখানে সেখানে ঘুরছে রিকশা, আটকে পড়ছে অন্য যানবাহন।
যাচ্ছেতাই চলায় ঘটছে দুর্ঘটনা। তাৎক্ষণিক লেগে যাচ্ছে বাকবিতণ্ডা। সমাধান করার যেন কেউ নেই। এ ঘটনাগুলো আগে সমাধান করে রাস্তা চালু রাখতো পুলিশ, এখন সবাই মিলে বিচারক, আর সব মিলে যানজট।
রাস্তায় কোনো কোনো পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে পুলিশ, তবে তাদের নির্দেশ কেউ মানছে না। যেখানে দাঁড়াতে মানা, পুলিশের সামনেই সেখানে দাঁড়াচ্ছে বাস।
৫ আগস্টের পর রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করেছিল শিক্ষার্থীরা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলছেন, পুলিশের ভীতির আসলে কোনো কারণ নেই।
এছাড়াও একই পথে চলছে পাতাল মেট্রোরেলের কাজ। রাস্তার অর্ধেক বন্ধ সে কাজে। সরুপথে যান চলে ধীর গতিতে। ততক্ষণে পেছনে তৈরি হয় লম্বা লাইন। এর বাইরে টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে রাস্তা। মেরামত হয়নি বলে বেড়েছে খানাখন্দ। সেসব পথেও যান চলছে ধীর গতিতে।
রাস্তায় সীমিত পুলিশ, কার্যক্রমও সীমিত। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কতটা জরুরি হারে হারে টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা কারণ বের করে সমাধানের কথা বলেছেন, দেখা যাক কী হয়।