ঢাকা
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:২০
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

উন্নয়নের নামে খরচের ‘উৎসবে’ লাগাম সরকারের, কম প্রয়োজনীয় প্রকল্প হচ্ছে বাতিল

অবকাঠামো উন্নয়নে দেড় দশকে কয়েক লাখ কোটি টাকা খরচ করে শেখ হাসিনা সরকার। দৃশ্যমান হয় মেগা স্ট্রাকচার, সুবিধাও পাচ্ছে জনগণ। তবে বেশিরভাগ প্রকল্পে খরচের পরিমাণ নিয়ে ছিল প্রশ্ন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এশিয়া-তো বটে, পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল উন্নয়ন হয়েছে এদেশে। এখন প্রদীপের নিচের অন্ধকার দিকটিতেও আলো ফেলতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

দায়িত্ব নিয়েই, প্রকল্পে ব্যয় সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এমনকি বাস্তবায়নাধীন কম-প্রয়োজনীয় প্রকল্পও বন্ধ করার পক্ষে খোলাসা করেন নিজের অবস্থান।

এরইমধ্যে শুরু হয়েছে সেই কর্মযজ্ঞ। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে টাকা খরচের ‘উৎসবে’ লাগাম টেনে ধরা শুরু করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ১৩টি প্রস্তাব। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এমনিতেই বেঁচে গেছে এমপিদের জন্য থোক বরাদ্দের প্রায় হাজার কোটি টাকা। ভাবা হচ্ছে- মেগা অবকাঠামোর বিকল্প অর্থায়ন নিয়েও। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থ সাশ্রয়ে যৌক্তিক কারণেই কাঁটছাঁট হতে পারে উন্নয়ন বাজেট। পরামর্শ- নজর দিতে হবে অনুন্নয়ন ব্যয়েও।

জানা গেছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ফেরত পাঠানো প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে তিলমারী নদীবন্দর, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন, কালুরঘাটে রেল ও সড়ক সেতু, রংপুর সিটি করপোরেশনের সড়ক উন্নয়ন ও ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোর লেন করতে ভূমি অধিগ্রহণ। ফেরত পাঠানোর পাশপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, চট্টগ্রাম-দোহাজারী ডুয়েলগেজ রেলরুট এবং মেট্রোরেল লাইন ওয়ান ও ফাইভ প্রকল্পের খরচ।

অন্তর্বর্তী সরকার ছোট করতে যাচ্ছে জাতীয় বাজেটও। এতে কাটা পড়বে বিলাসী উন্নয়ন কল্পনার অনেক বরাদ্দ। ব্যয় সংকোচনের এই নীতি সমর্থনযোগ্য বলে মনে করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, পরিকল্পনা সংক্রান্ত ব্যয়, যানবাহন ও একইসঙ্গে যন্ত্র কেনাসহ নানা খাতের ব্যয় সংকোচন করতে হবে। প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ রাখা হয় ইনভেস্টমেন্টের নাম করে। যেহেতু প্রকারন্তরে প্রকল্পের ব্যয়ের সাথে এটির খরচ দেখানো হয়। এগুলো রাখার প্রয়োজনীয়তাই নেই।

প্রকল্প অনুমোদনে প্রধান উপদেষ্টাকে চেয়ারপারসন করে এরই মধ্যে পুনর্গঠন হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্প ব্যয় সংকোচন নিয়ে সম্প্রতি পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, নিজেদের নির্বাচনী এলাকার জন্য অসংখ্য প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এগুলোর অনেক কাজ এখনও চলমান। অনেকগুলো একনেকে যাওয়ার অপেক্ষায়। এগুলোর অগ্রাধিকার আছে কিনা এবং কতটুকু সুবিধা বয়ে আনবে সেগুলো মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কম অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলো কাঁটছাঁট করা হচ্ছে।

প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
সম্পাদকঃ মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮, মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1840 474666 +880 1736 786915, 
+880 1300 126 624, ইমেইল: online.bdsangbad@gmail.com (online), news.bdsangbad@gmail.com (print), ads.bdsangbad@gmail.com (adv) 
বাংলাদেশ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram