পুরাণ ঢাকার কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল ও কলেজের দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিতে পদত্যাগ করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মামুন আর রশীদ। গত ২৮ আগস্ট বুধবার তিনি তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা না থাকার পরও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং সেই সময়ের স্কুলের গর্ভানিং বডির সদস্যদের সহযোগিতায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মামুন আর রশীদ। সহকারী প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম তুলে ধরে তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, আন্দোলনের এক পর্যায়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এবং স্কুলের অধ্যক্ষের নিকট ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্র পাঠান তিনি। পাঠকদের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষকের ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো—
সম্মানিত অভিভাবক এবং স্নেহের শিক্ষার্থীবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। গত কয়েক দিন আমাকে নিয়ে যে আন্দোলন এবং আমাকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগ করার যে দাবি উত্থান করা হয়েছে, তার যৌক্তিক কোনো কারন থাকুক বা না থাকুক এটা আমি আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে আমি এই মূহুর্তে আমি সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
আগামীকাল আপনারা অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট থেকে পদত্যাগের কাগজ গ্রহণ করবেন। আমি চাই না আমার কারনে ঐতিহ্য বাহি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হোক। শিক্ষক হিসেবে সেটা কাম্য না। সকলের নিকট আমার অনুরোধ আপনারা সকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করবেন।
মো: মামুন আর রশিদ।
শিক্ষক, কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল ও কলেজ, ঢাকা।