আগামী তিন বছরে ৩৬ দেশ থেকে সাড়ে লাখ শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ ইটালি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে নন ইউরোপিয়ান এসব কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। গেল ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া।
ভাগ্য বদলের আশায় দুবাই-সৌদ আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করা দক্ষ ও অভিজ্ঞ অনেকেই ফিরেছেন দেশে। লক্ষ্য ছিল আরেকটু ভাল থাকার জন্য ইউরোপ গমন। সে জন্য ইতালির ভিসার আবেদনও করেছেন তারা।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণার আগে, এমনকি গত আগস্টে-ও যারা ভিসার আবেদন করেছেন, তাদের অনেকেই এখন-ও ফেরত পাননি পাসপোর্ট। কারো কারো অন্য দেশের ভিসার মেয়াদ-ও শেষ। ফলে দারুণ বিপদে ভুক্তভোগী এমন হাজারো শ্রমিক।
ভুক্তভোগী একজন বলেছেন, যদি ভিসা পাই তাহলে ইতালি চলে যাবো, নাহলে সৌদি ফেরত যাবো। কিন্তু সৌদির ভিসা-ও ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে।
এই সংকট সমাধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইতালি দূতাবাস, ভিএফএস গ্লোবালসহ বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। এবার অন্তর্বতীকালীন সরকার উদ্যোগ নিক বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে সরাসরি ইতালির ভিসা ইস্যুটি না আসলেও বিষয়টি সমাধান যে জরুরি, তা মনে করেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বলেন, আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করবো। এ বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথা হয়েছ, বিশেষকরে ইটালির ব্যাপারে বেশি সংখ্যক আঁটকে আছে অনেকদিন যাবত। কাজের ভিসা কিংবা পারিবারিক ভিসায় যারাই যাচ্ছে; সেগুলো আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ব্যক্তিদের জন্য-ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটাকে আমরা যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছি।
দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধানে কেবল কথা নয়, কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে, এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।