মিরপুর উত্তর পীরেরবাগের একটি ভবন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ঘিরে রাখে কয়েকজন। তাদের দাবি, ভেতরে লুকিয়ে আছেন ডিবির হারুন। দেয়াল টপকে কয়েকজন ঢুকে পরে ভেতরে। এরপর সিসিক্যামেরা ভেঙে চেষ্টা চালায় কলাপসিবল গেট ভাঙার।
বাড়ির নিরাপত্তায় ছিলেন মালিকের আত্মীয়। বাড়িতে ঢুকেই কয়েক জন দাবি করেন তারা শিক্ষার্থী। শাওন নামে একজন নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক হিসেবে। যদিও তার কোন পরিচয় পত্র নেই।
অবস্থা বেগতিক দেখে গেট খুলে দেন ভবনের দায়িত্বে থাকা রিপন। নিচের ফ্লোরে কিছু না পেয়ে, মালামাল ও আসবাবপত্র থাকা ২য় ও ৩য় তলার তালা খোলার জন্য চাপ দেয়া হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চাইলে মুহূর্তেই পালটে যায় পরিস্থিতি। ততোক্ষণে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকা বাইরে জড়ো হওয়া মানুষের। শেষ পর্যন্ত গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তারা চড়াও হন শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়াদের ওপর। সন্দেহ বাড়ে ডাকাতির। পরে গুজব রটনাকারীকে ধরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন তারা।
রাতের মধ্যেই রুপনগর থানার সামনে জগুব ছড়ানোর মূল হোতা প্রিন্সকে ধরে আনেন তারা। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও গুজব রটানোকারী প্রিন্স বলেন, ডিবি’র হারুনের প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। কথা হবার পর, আমি বলেছি উনি (ডিবি’র হারুন) সম্ভবত উত্তর পীরেরবাগে আছেন। লোকেশন আমি গুগল ম্যাপে দেখাতে পারবো। যারা-ই সেখানে যাবেন, প্রথমে এলাকার মুরব্বি ডেকে কথা বলবেন। তারপর মুরব্বিদের নিয়ে ওই বাসায় যাবেন এবং কথা বলবেন যে, আমরা ইনফর্মেশনের ভিত্তিতে এসেছি।
তার ওপর চড়াও সবাই। তখনও গুজব রটিয়েই যান প্রিন্স। রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার চেষ্টা করা হলেও তা হয়নি। জানতে চায়, কোন ভবনে আছেন ডিবি হারুন? কথা দেন, পরদিন তা দেখাবেন। এরপর সারাদিন ঘুরিয়ে লাপাত্তা ওই প্রিন্স।
প্রিন্স পরে পীরেরবাগের যে বাসার কথা বলেছেন, সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভাড়াটিয়া সাদিকুর থাকেন সৌদি আরবে। গুজব ছড়িয়ে ফাঁকা বাসায় লুটপাট করতেই এমন গুজব ছড়ানো হয় বলে ধারণা এলাকাবাসীর।