বাঙালির জীবনে অভিশপ্ত মাস, শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। এই মাসটি শোক ও বেদনার। এই আগস্টেই, স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যে শূন্যতা পূরণ হবার নয় কোনোদিন। ১৯৭৫ সালের আগস্টের ১৫ তারিখ বাঙালির অবিসাংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী’সহ পরিবারের প্রায় সবাইকে ঘাতকচক্র নৃশংসভাবে হত্যা করে।
বিশ্বজনতা বঙ্গবন্ধু কে চিনে, এক নির্ভীক বীরের নামে। শোষণ, বঞ্চনা আর পরাধীনতার শেকল থেকে বেরিয়ে আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
যার আজীবন সংগ্রাম আর ত্যাগে জন্ম হয়েছিল একটি মানচিত্রের, কিছু বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তে তাকেই হত্যা করা হয় স্বাধীনতার পরিপূর্ণ তৃপ্তির আগে।বাঙালির গর্বের মুক্তিযুদ্ধের মাত্র ৪ বছর পরেই ইতিহাসে লাগে রক্তের দাগ। ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রচিত হয় কালো অধ্যায়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল এদেশেরই কিছু বিপথগামী। তারাই হত্যা করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যের। ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক এই অধ্যায়ের পর বারবার প্রমাণিত হয়, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালায় পরাজিত শক্তির।
ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ঠিকই, কিন্তু অগ্রযাত্রা রুখতে পারেনি, তার লালন করা স্বপ্নের। দেরিতে হলেও হয়েছে হত্যাকারীদের বিচার। একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি এখন বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাত ধরেই সমৃদ্ধির পথে।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার মধ্য দিয়ে চেষ্টা চলেছিল একটি আদর্শ মুছে ফেলার। সেই নরহত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালির ইতিহাসে সে কালো মেঘের সূচনা হয়েছিল, পাঁচ দশক পরও সেই ঘনঘটা ফিরে ফিরে আসে বাংলার আকাশে।
স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যতোই উন্নতি করুক, জাতির পিতাকে হত্যার গ্লানি- ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাবে না কোনো দিনও।