আকাশ শীল, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে প্রায় ২ বছর আগে মাদকের বড় ডিলার হতে গিয়ে সাড়ে ৬ কোটি টাকার ইয়াবাসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এই রায় দেন।
আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান শাহমীরপুর উজির খান চৌধুরী বাড়ির মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও মো. আব্দুল নুরের ছেলে মো. রুবেল হোসেন (৩০)।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাছির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২ লাখ ৪ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজম উদ্দিন চৌধুরী ও রুবেল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টায় (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি দল কর্ণফুলীর শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার উজির খান চৌধুরীর বাড়ির একটি টিনশেডের গুদাম ঘর থেকে তাদের গ্রেফতার করেন। তখন র্যাব-৭ এর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে, বসত বাড়ির পাশে একটি গুদাম ঘরের মাটির নীচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ২ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং পানির নীচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগে করে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারসহ দু্জনকে গ্রেফতার করেছিলেন।
র্যাব তখন জানিয়েছিলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ সাগর পথে মায়ানমার হতে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারীভাবে বিক্রয় করে বড় ডিলার হতে চেয়েছিলেন।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মাদক ও আস্ত্র উদ্ধারের পৃথক দুটি মামলায় দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০২৩ সালের ১২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। যা আদেশ হয়। অন্যদিকে, অস্ত্র মামলাটি অন্য একটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।