বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে জয় পেয়েছে পর্তুগাল, নরওয়ে ও ইতালি। বন্ধু জোতার জার্সি গায়ে নিয়ে নামা রুবেন নাভাসের শেষ মুহূর্তের গোলে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জেতে রোনালদোরা। অপর ম্যাচে আর্লিং হালান্ডের হ্যাটট্রিকে ইসরায়েলকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নরওয়ে। পাশাপাশি এস্তোনিয়াকে হারিয়ে ১২ বছর পর ফিফা বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল ইতালি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচগুলো। আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই গোলের দেখা পেতে পারতেন রোনালদো। ম্যাচের ১৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তার শট প্রতিহত হয় পোস্টে। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে হতাশা বাড়ান বের্নার্দো সিলভা।
প্রথমার্ধের পুরোটা সময় আয়ারল্যান্ডের জমাট বাধা রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডরা। তবে ৭১ মিনিটে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। সেখান থেকেও দলকে লিড এনে দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন সিআরসেভেন।
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি পর্তুগাল। অবশেষে ৯১ মিনিটে ত্রাতা হয়ে আসেন নেভেস। প্রয়াত বন্ধু জোতার ২১ নম্বর জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলতে নামা আল হিলালের এই মিডফিল্ডার গোলের সুবাদেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোনালদো-ফার্নান্দেসরা।
অপরদিকে, নরওয়ের একচেটিয়া আধিপত্যের ম্যাচে গোল উৎসবের শুরু হয় অতিথি ইসরায়েলের আত্মঘাতী গোলের মধ্য দিয়ে। ম্যাচের ২৮তম মিনিটে ফের নিজেদের জালে বল জড়িয়ে নরওয়েকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন দলটির ডিফেন্ডার ইদান নাহমিয়াস। অবশ্য এর এক মিনিট আগেই নিজের প্রথম গোলের দেখা পান আর্লিং হালান্ড। ৩-০ গোলের লিডে থেকে বিরতিতে যায় নরওয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে স্বাগতিকদের আধিপত্য। ৬৩ মিনিটে আবারও স্কোর শিটে নাম লেখান হালান্ড। এরপর নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করতে খুব একটা সময় নেননি তিনি। ৯ মিনিট পরই হেডে বল জালে জড়িয়ে এ কীর্তি গড়েন ম্যানচেস্টার সিটির এ ফরোয়ার্ড। ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা আরও জোরাল হলো নরওয়ের।
দিনের অন্য ম্যাচে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি। পরাজয়ে বাছাইপর্ব শুরু হলেও জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি।
ম্যাচের শুরুতেই ফেদরিকোর কল্যাণে লিড পায় ইতালি। তবে ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করে রেতেগুই। এর আট মিনিট পরই অবশ্য দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন তিনি।
বিরতির পর ইতালি ৭৪ মিনিটে আরও এক গোল করে। স্পিনাজ্জোলার পাস থেকে স্কোর শিটে নাম লেখান ইন্টার মিলানের ২০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার পিও এসপোসিতো। পরে এস্তোনিয়ার স্যাপ্পিনেন একটি গোল শোধ করলেও তা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।